তথ্য বা ইনফরমেশন পাঠানোর উদ্দেশ্যে সিগন্যালের আকার পরিবর্তন করার পদ্ধতিকে মডুলেশন বা উপযোজন বলে।
মডুলেশন হলো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার প্রান। একটি সিগন্যালে উপস্থিত তথ্য আরেকটি সিগন্যালের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বদাই মডুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। মডুলেশন ব্যবহার করা হয় সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর জন্য। কারণ বায়ুর মাধ্যমে নিম্ন কম্পাঙ্কের সিগন্যাল খুব বেশী দূরে পাঠানো সম্ভব নয়। তাই সিগন্যাল পাঠানোর পূর্বে একে উচ্চ কম্পাঙ্কের আরেকটি সিগন্যালের উপর স্থাপন করা হয়। এটি করা হয় মূল সিগন্যালে বা ইনফরমেশন সিগন্যালে অবস্থিত তথ্য অনুসারে উচ্চ কম্পাঙ্কের সিগন্যালের কম্পাঙ্ক, বিস্তার (amplitude) অথবা দশা (phase) পরিবর্তনের মাধ্যমে। সাধারণত মূল সিগনালের বিস্তারের পরিবর্তনের মধ্যে তথ্য উপস্থিত থাকে। উচ্চ কম্পাঙ্কের সিগনালটিকে বলা হয় বাহক সিগন্যাল বা ক্যারিয়ার সিগন্যাল। মিশ্র সিগন্যালকে মডুলেটেড সিগন্যাল বলা হয়।
একটু ভালোভাবে বুঝাতে মডুলেশন এর একটি বাস্তব উদাহরণ দেওয়া যাক...
উদাহরণ:
মানুষের কন্ঠস্বরে মডুলেটেড হয় সাধারণত ৩০০-৩৪০০ কম্পাঙ্কের মধ্যে। কিন্তু এই কম্পাঙ্কের শব্দ খুব বেশী দূরে থেকে শুনতে পাওয়া সম্ভব নয়। এখন যদি মানুষের এই এই কম্পাঙ্কের কথা একটি ৯৬ মেগাহার্টজ কম্পাঙ্কের বাহক সিগন্যালে মডুলেশন বা উপযোজন করা হয় তবে তা দূরে প্রেরণ করা সম্ভব হয়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই বেতার সম্প্রচার করা হয়ে থাকে।
সম্পর্কিত আর্টিকেল :
কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
উইকিপিডিয়া কী
0 Comments
•Do Not Share Any Link.
Thank You•