Ticker

7/recent/ticker-posts

GSM | জিএসএম কি | জিএসএম এর সুবিধা, অসুবিধা এবং বৈশিষ্ট্য

 

GSM
GSM

GSM এর পূর্নরূপ হলো Global System for Mobile Communication.  জিএসএম হলো মোবাইল টেলিফোনি সিস্টেমের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্টান্ডার্ড। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মধ্যে রোমিং চুক্তি থাকার ফলে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো ব্যক্তি জিএসএম এর আওতায় থাকা অবস্থায় নিজের মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে পারেন। স্বল্প মূল্যের শর্ট ম্যাসেজ সার্ভিস (এসএমএস) এর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও জিএসএম পথিকৃৎ। GSM বিশ্বের ২১৮ টি দেশে ব্যবহৃত হয়।

GSM, TDMA (time—division multiplex access) ব্যবহার করে মোবাইল ফোন যেসব সার্ভিস দিয়ে থাকে তা হলো: 

  • এসএমএস (sms), কল ফরওয়ার্ডিং (call forwarding)
  • আউটগোয়িং কল বেরিং (Barring of Outgoing Calls) — আউটগোয়িং কলকে নিয়ন্ত্রণ করা। 
  • ইনকামিং কল বেরিং (Barring of Incoming Calls) — ইনকামিং কলকে নিয়ন্ত্রণ করা। 
  • এডভাইস অব চার্জ (Advice of Charge- AOC) — অপারেটরের সাহায্য ছাড়াই কলের খরচ জানা।
  • কল হোল্ডিং (Call Holding) এবং কলার আইডি (Caller ID)
  • কল ওয়েটিং (Call Waiting), মাল্টিপার্টি সার্ভিস (Multiparty Service) 
  • ক্লোজড ইউজার গ্রুপ (Closed User Group — CUG)
  • Explicit Call transfer (ECT) — এ সার্ভিসে ব্যবহারকারী দুটি কলের সাথে একত্রে সংযুক্ত হতে পারে। 
  • ফ্যাক্স সার্ভিস (Facsimile Service) 
  • কম্পিউটারের সাথে সংযোগ (Connection with Computer) 

জিএসএম এর সুবিধা (Advanced of GSM)

  • এটি একটি দক্ষ প্রযুক্তি যার ফলে শক্তিশালী ফিচারসহ অনেক বেশি স্থায়ী নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। 
  • দালানের অভ্যন্তরে সিগন্যালের অবনতির হার কম এবং রিপিটার সমূহ ব্যবহারে সক্ষম। 
  • ট্রান্সমিশনের পালস স্বভাবের কারণে টকটাইম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। 
  • এটি মোবাইল টেলিফোনি সিস্টেমের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্যান্ডার্ড। 
  • বিশ্বব্যাপী জিএসএম এর ব্যপক কভারেজ রয়েছে। 
  • এক দেশের তৈরি জিএসএম হ্যান্ডসেট অন্য দেশে সাধারণত কোনো সমস্যা ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। 
  • বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ব্যবহার করা যায় বলে এক্ষেত্রে রোমিং কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।

পড়ুন— বিজ্ঞানের কিছু মজার তথ্য 

জিএসএম এর অসুবিধা (Disadvantage of GSM)

  • ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হলে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটে। 
  • জিএসএম এর ফিক্সড সেল সাইট রেঞ্জ হলো সর্বোচ্চ ৩৫ কিলোমিটার যার কারিগরি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। 
  • এটি পালস-ট্রান্সমিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বলে কিছু কিছু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের উপর এটি প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন —পেস মেকার ও হিয়ারিং এইড  ডিভাইস সমূহ। তাই বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে হাসপাতাল ও বিমানের অভ্যন্তরে সাধারণত সেল ফোন বন্ধ রাখা হয়। 

জিএসএম এর বৈশিষ্ট্য (Features of GSM)

  • সেলুলার নেটওয়ার্ক বিধায় নির্দিষ্ট এলাকাতে মোবাইল ফোনগুলো জিএসএম এর সাথে সংযুক্ত হয়।
  • জিএসএম স্ট্যান্ডার্ডটি ইনডোর কভারেজকেও সমর্থন করে। 
  • নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। 

Post a Comment

0 Comments