সাল ১৮৩৭ স্যামুয়েল মোর্স টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করেন। এটি ছিলো ডেটা কমিউনিকেশনের আদি যন্ত্র ; যা থেকে আধুনিক ডেটা কমিউনিকেশনের সূচনা ঘটে। টেলিগ্রাফ মেশিন দ্বারা তার মাধ্যমে ব্যবহার করে দ্রুত সাংকেতিক শব্দ বিভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে পাঠানো সম্ভব হয়।
সাল ১৮৪৩ প্রিন্টেড টেলিগ্রাম মেশিন চালু হয়। আমেরিকার গ্রেট ইস্টার্ন রেলওয়ের তত্ত্বাবধানে এ টেলিগ্রাফ সেবা সারা আমেরিকা জুড়ে চালু করা হয়।
সাল ১৮৭৬ আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেন। এর ফলে তার মাধ্যমে যেকোনো ভৌগোলিক দূরত্বে ভয়েস ডেটা কমিউনিকেশন সম্ভব হয়।
সাল ১৮৯৫ মার্কনি রেডিও আবিষ্কার করেন। রেডিও বা বেতারই হলো পৃথিবীর প্রথম তারবিহীন বা ওয়্যারলেস যোগাযোগের পদ্ধতি।
সাল ১৯৪৭ আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে একদল প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ট্রানজিস্টর তৈরি করেন। আধুনিক যুগের ডেটা কমিউনিকেশনের ব্যপক সুবিধা সম্পন্ন এবং বহনযোগ্য যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহৃত হয় তা সম্ভব হয়েছে ট্রানজিস্টর আবিষ্কার ও এর ব্যপক উন্নয়নের ফলে।
সাল ১৯৫৮ মার্কিন গভর্নমেন্ট কর্তৃক কমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট ভূ-উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করলে এর ফলে পূর্ববর্তী প্রযুক্তি গুলো আরও ব্যপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করে।
সাল ১৯৬২ প্রিন্ট বা স্ক্যান করা টেক্সট এবং ছবিকে শব্দতরঙ্গে পরিনত করে টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে স্থানান্তরের জন্য মডুলেশন এবং ডিমডুলেশন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়। ফ্যাক্স আবিষ্কারের পর এ পদ্ধতি ব্যবহার করে মডেমের ডেটা কমিউনিকেশন ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
সাল ১৯৬৯ ইন্টারনেট প্রোটোকল বা আইপি আবিষ্কার ডেটা কমিউনিকেশনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক স্থাপন করে। এর ফলে পরবর্তী এক দশকে প্যাকেট কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মোডের দ্বারা ডেটা কমিউনিকেশনে ব্যপক গতি লাভ করা সম্ভব হয়। একই সময়ে ISDN এর বিস্তার ঘটে। যা বানিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত ডেটার চাহিদা মেটানোর জন্য কার্যকরী একটি সমাধান হিসেবে চিহ্নিত হয়।
সাল ১৯৯১ বিশ্বের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব চালু করা হয়৷ এ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www এ হলো আজকের ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সর্বোৎকৃষ্ট উৎকর্ষিত প্রযুক্তি ইন্টারনেট, যার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব হয়েছে।
সম্পর্কিত আর্টিকেল :
ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট কী?
হ্যান্ড জিওমেট্রি কী?
2 Comments
Thanks.
ReplyDeleteWelcome.
Delete•Do Not Share Any Link.
Thank You•